ব্যথার অ্যাবস্ট্রাক্ট | আকাশ




                          বাজার | আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

[চিত্রণ: ভালদিনেই ক্যালভান্তো, ব্রেজিল]

সব কিছু মেনে নেওয়া খুব সহজ হয়না, যেমন আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে খিটকেল স্যারের অসহ্য আবদার, রোজ ক্লাসে তিন মিনিট আগে ঢুকতে হবে। কোনোদিন ক্লাসে ঢোকবার মুখে উনিও ঢুকতে এলে ভদ্রতার খাতিরে ঢোকার জন্য ওনাকেই আগে রাস্তা করে দিই। উনি ঢুকে গিয়ে আর আমায় ঢুকতে দেবেন না! তারপর আদেখলা হাসি হেসে বলবেন- এসব তোমাদেরই ভালোর জন্য। আমি নিজে খারাপ হচ্ছি, কিন্তু আমার কড়া ব্যবহার আসলে তোমাদেরই উপকার করছে। পাগল কতরকম হয়! এই তো শেষ শনিবার ঠিক দেড় মিনিট দেরি হল পৌঁছতে, দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন। বেরোবার সময় খুব নম্রভাবে ঘোষণা করে গেলেন যে, আমরা খাতায়-কলমে অনুপস্থিত আর তাই সোমবার উনি আমাদের প্র্যাক্টিক্যাল করতে দেবেন না! রাগে আর অভিমানে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গেল। ফেরার পথে খুব অল্পেই সব কিছুতে বিরক্ত হতে লাগলাম- এত জ্যাম হয় কেন, বড়বাজারের ফুটপাথগুলো কেন বেদখল, হাওড়া ব্রীজে গাড়িগুলো কেন নির্দিষ্ট শৃঙ্খলে চলে না! প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে কেন ট্রেন ঘোষণা করে দেয়! সবই কি এই? ষ্টেশনের গায়ের রাস্তাটায় রেল পোঁতা ঠিক এমন ভাবে, যাতে সাইকেল বা বাইক যেতে না পারে! কে আর মানছে অত। সাময়িক ভাবে অন্ধ হতে হয়, তারপর রাস্তায় যা ভিড়, সততা বাড়িতে রেখে বেরোতে হয়; পাছে চুরি হয়ে যায়! আমার প্রফেসর থেকে মাছওয়ালা সবাই কি তাহলে একইরকম!
-কি হল রে ভাই?  বেল শোনা যাচ্ছে না!
- না।
-কানটা দেখা তাহলে
-চুপ একদম। হাঁটার রাস্তায় সাইকেল ঢোকালে অত কথা বলতে নেই। চুপচাপ ভদ্রভাবে পিছনে আসুন।
-শালা তোর বাপের রাস্তা? লাটসাহেবের বেটা!
আমার ডান হাত ওর সাইকেলটা আটকালো আর বাঁ-হাতটা তখন ওর জামার কলারের দিকে যাচ্ছে। হঠাৎ পাশে দেখলাম করুণ মুখ করে আমায় দেখছে শুভ্রদীপ, আমার বাবার ছাত্র। হাতদুটো সরিয়ে নিলাম। ভুলে গিয়েছিলাম আমি মাষ্টারের বেটা।
---
 


আড্ডা, সাবেকী ভাষায় Interview



আমার জীবন থেকে উঠে আসা সুর


এখনো অ্যানাউন্সমেন্ট হয় নাই, আসবে কি না জানা নাই

Comments