সম্পাদকী..ওফ্‌!



ঐ, শুরু হল বাজে বকা! | সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী


বেশি কথা বলব না। সম্পাদকীয়তে বেশি কথা বলতে নেই, এটা আমি বিশ্বাস করি।

শুধু বলি, একটা ছোট্টখাট্টো চেষ্টা করলাম এই সময়ে যারা লেখালেখি করছেন, তাঁদের লেখা গদ্যবিশেষ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। একটা জিনিস বেশ বুঝলাম, এখন যত সহজে সকলে কবিতা লিখে ফেলেন, গদ্য ততো সহজ নয়। তাই অনায়াসেই অনেকে জানান যে ‘কবিতা সংখ্যা হলে রেডিই ছিল। গদ্য তো রেডি নেই।’ তবু সকলের ব্যথাই মুঠো ভরে তুলে দিলাম আপনাদের চোখের সামনে।

যেটুকু কৈফিয়ৎ নিতান্ত না দিলেই নয়, সেটা হলো সম্পাদকীয় কৌলীন্য উপভোগ করতে করতে প্রত্যেকের লেখার সাথেই আমি কিছু না কিছু জুড়ে দিয়েছি। ধরুন কারও আঁকা একটা ছবি, কিংবা প্রিয় কোনও ফিল্মের টুকরো অংশ। এটা কিন্তু ব্যথার উদ্রেক করতে পারে বলেই আমার ধারণা। আসলে গত একপক্ষ ধরে লেখিকা-লেখকদের ব্যথা নিয়ে নাড়াচাড়া করছি তো। আর প্রত্যেকটি লেখা পড়ার পর আমার চোখের সামনে যা ভেসে এসেছে, যা আমি দেখতে পেয়েছি, সেইটি জোর-জবরদস্তি ঢুকিয়ে দিয়েছি। হয়তো দ্বিতীয়বার একই লেখা পড়তে গিয়ে দেখেছি, ছবিটা বদলে যাচ্ছে। তবু ওই প্রথমে যা জুড়েছিলাম, তাইই রেখে দিয়েছি। এর দুটো দিক আছে। কিছু ক্ষেত্রে, আমার ধারণা- ছবিটা কিছুটা হলেও লেখাকে সঙ্গতা ও পূর্ণতা দুইই দিচ্ছে। আবার উল্টোটাও হতে পারে, যে লেখাগুলি নিজ গুণে অত্যন্ত ভালো, সেগুলি ভুল বার্তা পাচ্ছে। সবটাই মেনে নিয়ে এটুকুই বলার যে, লেখাগুলি পড়ুন। এবং ভালো লাগল, খারাপ লাগল, ঠিক জমল না – এই গোছের পলিটিক্যাল স্টেটমেন্টের বাইরে গিয়ে আলোচনা, সমালোচনা করুন। প্রয়োজনে লেখিকা-লেখকদের সরাসরি প্রশ্ন করুন। এই অভ্যাসটা গড়ে তুলুন। এটা জরুরী।

ব্যস্‌, এটুকুই বলার ছিল। জানি অনেককেই ব্যথা দিয়েছি, ব্যথা পেয়েওছি। হয়তো এই ব্যথা সংখ্যাটা সেইসবেরই প্রতিফলন। বাকীটা ব্যক্তিগত! 



আড্ডা, সাবেকী ভাষায় Interview



আমার জীবন থেকে উঠে আসা সুর


এখনো অ্যানাউন্সমেন্ট হয় নাই, আসবে কি না জানা নাই

Comments