ব্যথার অ্যাবস্ট্রাক্ট | সুভান




                    কবিতার মিস্‌ক্যারেজ | সুভান


[কবিতার দৃশ্যায়ণ-দৃশ্য কবিতা: জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ | মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, ভারত]

টেবিল ঘেঁষা মধ্যরাত্রির জানলা থেকে ছিটকে আসা হালকা আলোয় যে শব্দগুলো কাগজে মিশে যাচ্ছে প্রত্যেকটা রাত
সে সব শব্দগুলো ক্ষত হতে পারে তবে আর যাই হোক
                                                                 কবিতা নয়...

ক্ষতর কথাটা কখনও বলা হয়ে ওঠে না কারোর রাতের দিকে সমস্ত ক্ষতরা আস্তে আস্তে জেগে ওঠেএই যে এত দীর্ঘরাত আর তার চেয়েও দীর্ঘ কবিতা, একলা ঘর, এত জোনাকির আলো, এত অন্ধকার ভেঙে ভেঙে এগিয়ে আসা চাঁদ, এত সরু গলির কোণে আঙুল ছেড়ে যাওয়া বিষাদ, চোখের পালক ভিজে আসা জমানো চিৎকার, পোড়ানো অভিলাস ফুরিয়ে আসা আদর, দুরত্বের প্রাচীর, কাঁচের টুকরো গাঁথা বুক, ছেঁড়া ডায়েরীর পাতা থেকে ছুঁড়ে ফেলা গুমোট প্রহর কান্না কান্না রক্ত রক্ত আর কপাল চুইয়ে নেমে আসা দুঃস্বপ্ন ভাঙা ঘামের কাঁটা বুকে এসে আটকে থাকা সব কিছুর মধ্যেই যন্ত্রণা একটাই। ক্ষত। তাহলে কবিতা কোথায়? ক্ষতর মোড়কে মোড়া একটা শূন্য ঘর কিছু পরিযায়ী পাখিদের পালক পোড়া আর্তনাদ না ফিরতে পারা ঠাণ্ডা আকাশ মৃত মেঘ নোনা বৃষ্টির ঝাঁট হাঁটু জল পেরিয়ে আসা কিশোরীর দল তাদের ভিজে চুল আর ভিজে জামা আবছা অন্তর্বাসের ছাপ ফুটে ওঠা পিঠ জড়িয়ে ধরতে চাওয়া রাত, জানলার বাইরের রাস্তার ধারে দাঁড়ানো যুবক, ফাঁকা ফুটপাথ স্ট্রীট ল্যাম্পের হলুদ আলো থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়া অজস্র ঘুম পিছু নেওয়া মাঝ রাতের টহলদারি পুলিশ ভ্যান অন্ধকারময় পাড়া গলি থেকে বেড়িয়ে বড় রাস্তা আর ক্ষয়ে যেতে যেতে ভঙ্গুর মন, রুমালের চুমু দাগ পকেটে পুষে রাখা আর ভাঁজ করা সুগন্ধি কাগজ আর কাগজে লেখা প্রেম... কিন্তু যন্ত্রণা কোথায়? শহরের রাস্তায় রাস্তায় উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটের চতুষ্কোণে সাজানো মানিপ্ল্যান্টে কারা কীট জন্মের ভাগিদার হতে চলেছে জানি না। শরীরে আছড়ে পড়া মন থেকে রেহাই পাচ্ছি কোই? অন্ধকার যত গাঢ় হচ্ছে এই মায়াবী শূন্য ঘরে শব্দের ছত্রাক ছড়িয়ে পড়ছে। সারা গায়ে মাথায় সেই ছত্রাক। দেহ মনের সহবাসের পর কাগজে কবিতার ভ্রূণ জন্মাচ্ছে ঠিকই কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার আকস্মিক

গর্ভপাত ঘটছে...



আড্ডা, সাবেকী ভাষায় Interview



আমার জীবন থেকে উঠে আসা সুর


এখনো অ্যানাউন্সমেন্ট হয় নাই, আসবে কি না জানা নাই

Comments